আন্দলোনরত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ২ ঘন্টা বৈঠকের পরেও পাঠদানের জন্য শ্রেণি কক্ষে ফিরিয়ে নিতে ব্যার্থ হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী রুহুল হক এমপি’র নেতৃত্বে মেডিকেল বিভাগের উর্ধ্বতন একটি টিম। শিক্ষার্থীরা তাদেরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল সহ ক্লিনিক্যাল শ্রেনী কক্ষ চালু না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস বর্জন ধর্মঘট কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন।
৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ষষ্ঠ দিনের মত অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট চলাকালে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী রুহুল হকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল বিভাগের একটি টিম সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে আন্দলোনরত ছাত্র-ছাত্রীদের টোপের মূখে পড়েন তারা। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা স্লোগান দিতে থাকে ‘এক দফা এক দাবি পূর্নাঙ্গ মেডিকেল কবে দিবি-রক্ত চাইলে রক্ত দেব মেডিকেল চালু কর, মিথ্যা আশ্বাসে লাভ নাই-হাসপাতাল চালু চাই, হাসপাতাল না দিলে সাদা এ্যাফরোন লাল হবে’। শিক্ষার্থীদের এই স্লোগানে শহরের বাকালস্থ্য কলেজ ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
এর এক পর্যায়ে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি‘র নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মেডিকেলের এডুকেশন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ, বিএমএর সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, সাচিবের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোখলেসুর রহমানসহ মেডিকেল টিমের সদ্যরা প্রশানিক ভবনের সামনে আসেন। শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ট দিনের মত এক দফা দাবিতে কলেজের প্রশানিক ভবনের মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় তারা সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সংলাপের প্রস্তাব দিলে তালা খুলে দেওয়া হয়। পরে সমস্যা সমাধানের জন্য অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এক রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে সাবেক মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মেডিকেল এ্যাডুকেশনের পরিচালক প্রফেসর ডা. আব্দুর রশিদ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী তবিবুর রহমান, বিএমএর সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, সাচিবের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোখলেসুর রহমানসহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন