গোপালগঞ্জে শুকতাইল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ-আল-মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ওই শিক্ষকের বাড়ি জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহানাগ গ্রামে।
শুকতাইল ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. আবেদ আলী জানান, সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন শুকতাইল গ্রামের একটি বাড়িতে লজিং থাকতেন। এই সুযোগে ওই বাড়ির এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিছু গোপন ভিডিও ধারণ করেন তার মোবাইল ফোনে। এসব ভিডিওচিত্র ধারণ করে শিক্ষার্থীকে একের পর এক ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছিলেন।
ওই শিক্ষক তার গ্রামের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী ভিডিওচিত্রটি দেখে ফেলেন এবং ওই ছাত্রীর প্রতিবেশী জাহিদের মোবাইলে ট্রান্সফার করে। জাহিদ ওই ভিডিওচিত্র অন্যদের দেখান।
শনিবার শুকতাইল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। পরে ম্যানেজিং কমিটি জরুরি সভা ডেকে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. ইদ্রিস আলী জানান, এলাবাসীর অভিযোগের সময়ে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই শিক্ষকও অনুষ্ঠানে ছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ ওঠার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জালালউদ্দিন জানান, শুকতাইল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। সেখানে স্থানীয়রা সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক কাজের অভিযোগ করেন। আমি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন