দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী রবিউল হত্যা মামলায় তার ছেলে আরাফাত হোসেন (১৭)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের কাটা পা বাড়ির পাশের একটি গোবরের স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে পা কাটার কাজে ব্যবহৃত দা টিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ হত্যা ঘটনায় নিহত রবিউলের স্ত্রী আবেদা বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই আব্দুল আজিজ সাংবাদিকদের জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়া ইউপির হেলেঞ্চা গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামকে তার শয়ন কক্ষে কে বা কারা হত্যা করে তার বাম পায়ের হাটুর নিচ থেকে কেটে নিয়ে যায়।
ওই হত্যা মামলায় নিহত রবিউলের ছেলে আরাফাতকে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিঙ্গাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কেটে নেওয়া পা ও কাটার কাজে ব্যবহৃত দা তার বাড়ির পাশের একটি গোবরের স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আটক আরাফাতের উদ্ধৃতি দিয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, নেশার টাকা চাওয়ার কারণে তাকে তার পিতা গালমন্দ করায় রাতে সে পিতাকে প্রথমে বৈদ্যুতিক শকে হত্যা করে। বৈদ্যুতিক শকের কারনে পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যাওয়ায় সে ওই পায়ের অংশ কেটে নিয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ