মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদি গ্রামের তানিয়া বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে দুই দেবর ও শাশুড়ি মিলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার আসামী দেবর রেজাউল মৃধাকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়, হাসপাতাল, পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বনগ্রামের আবুল কাশেম হাওলাদারের মেয়ে তানিয়া বেগমের সাথে কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদি গ্রামের কালাম মৃধার ছেলে লিটন মৃধার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের ২টি সন্তানও হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষ ২ লাখ টাকা যৌতুক নেয়। পরে তারা আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
এই টাকা দিতে না পারায় দেবর রেজাউল মৃধা, আজিজুল মৃধা, শাশুড়ি হিরণ নেছা ও ননদ ডলি বেগম ঐ গৃহবধূকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে রান্না করার সময় ঐ গৃহবধূর শরীরে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে তাকে রক্ষা করে। পরে প্রতিবেশিরা চলে গেলে ঐ গৃহবধূকে চিকিৎসা না দিয়ে ঘরের ভেতর তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে।
গৃহবধূর পরিবারের লোকজন খবর পেলে তারা লোকজন নিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বর্তমানে গৃহবধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এই ঘটনায় সোমবার রাতে কালকিনি থানায় মামলা হলে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে দেবর রেজাউল মৃধাকে গ্রেফতার করেছে।
গৃহবধূ তানিয়া বেগম বলেন, যৌতুকের জন্য আমার শশুরবাড়ির লোকজন আমাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণা বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। হাসপাতালে গিয়ে ওর খোঁজ খবর নেয়া হবে। তাছাড়া ওকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন