হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মত বিরোধ দেখা দেওয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে। নির্বাচনের পর থেকে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইফুল আলম রুবেল তার কর্মী ও সমর্থকরা প্রায় প্রতিদিন চুনারুঘাট উপজেলা সদরে ঝাঁড়ু ও জুতা মিছিল করছে। এ নিয়ে চুনারুঘাট আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকা দেখা দিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণেল মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। পৌর শহরে পুলিশ ও র্যারের টহল অব্যাহত রয়েছে।
চুনারুঘাটের পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও ফলাফল ঘোষণা নিয়ে ঘটে নানা অঘটন। ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ফলাফল আসতে থাকে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাশহুদুল কবির প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক প্রাপ্ত ফলাফল মাইকযোগে সকলের অবগতির জন্য ঘোষণা দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে ুউপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ঘোষণা কেন্দ্রে জোড় করে প্রবেশ করে ফলাফল প্রকাশ বন্ধ রাখার দাবি জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যালট বাক্স্র উপজেলা পরিষদে এনে পুনঃগণনা করার জন্য দাবী জানান। ইউএনও আইনগতভাবে সেটি সম্ভব নয় জানালে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোকনউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যানকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, ভোট কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার গণনার কোনো সুযোগ নেই। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে দিন। প্রিসাইডিং অফিসার যতবার খুশি ততবার গণনা করতে পারেন। এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ফলাফল কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের তাড়িয়ে দেয়।
এ পরিস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাত ৯ টায় প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল যোগ করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, বিএনপি প্রার্থী নাজিমউদ্দিন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দির চেয়ে ১৪ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন। এ ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরাজিত মেয়র প্রার্থী সাইফুল আলম রুবেল সমর্থকরা প্রতিদিনই পৌর শহরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করছে। তারা ইউএনও এবং ওসির অপসারণ দাবি করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ