তালা ভেঙ্গে হোস্টেলে উঠেছেন বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজের বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রীসহ তিন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও জেলা ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
জানা যায়, বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ শাখার সভানেত্রী আঞ্জুমান আকতার আয়নার হোস্টেল রুম থেকে মালামাল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় সাধারণ সম্পাদিকা রত্না সরকারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও বটি দিয়ে কুপিয়ে সভানেত্রী গ্রুপের কর্মী মোস্তাকিয়া আকতারকে জখম করে। ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদিকাসহ উভয় গ্রুপের ৬ জনকে কলেজ হোস্টেল থেকে বহিস্কার করে এবং তাদের কক্ষ দু’টিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ নিয়েও ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেত্রীর দুটি গ্রুপে বিরোধ বেড়ে যায়। হোস্টেল থেকে বহিস্কৃত ৬ জনই ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করলেও হোস্টেলের দখল নিতে তৎপর ছিল দুটি গ্রুপই। এক পর্যায়ে গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে ৪০৭ নং কক্ষের তালা ভেঙ্গে রুমের দখল নেয় হোস্টেল থেকে বহিস্কৃত নেত্রী রত্না সরকার, তার সহযোগী তোমানিয়া আফরিন তিমু এবং রোকেয়া সরকার তিশা। হোস্টেল কক্ষ দখল নেয়ার ঘটনায় সভানেত্রী গ্রুপের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভানেত্রী আঞ্জুমান আকতার আয়না জানান, হোস্টেল থেকে বহিস্কার করার পরেও তালা ভাঙ্গল তারা। এটাও তো অপরাধ।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস জানান, পূর্বের কোনো এক ঘটনা নিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ৬ জন নেত্রীে বাহিরে থাকতো। বাহিরে যেন না থাকে সে কারণে দুই পক্ষকে ডেকে কলেজ অধ্যক্ষকে জানিয়ে হলে ফেরত যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বগুড়া সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর নাছিমা আকতার জাহান জাহান জানান, হোস্টেল রুমে যে ছাত্রী ছিল সে ছাত্রীরাই উঠেছে। অনুমতি ছাড়া রুমে প্রবেশ করা এবং তালা ভাঙ্গার ঘটনায় আগামীকাল মিটিং হবে। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/৯ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ