খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় লিপি দে (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে গুইমারার ডাক্তারটিলা এলাকার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের শ্বশুর বাড়ি পক্ষের লোকজনের দাবী, লিলি দে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের আগে হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী উজ্জল কান্তি দে ও দেবর লিটন দেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহত গৃহবধূর পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামে বলে জানিয়েছেন শ্বাশুড়ি শেফালিকা দে। তিনি আরও জানান, গতকাল শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে পাতা খুড়াতে যায় তার ছেলের বউ। এ নিয়ে রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আজ সকালে উজ্জল গুইমারা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যায়। তখন লিপি বাড়ির মধ্যে ঢুকে গলায় ফাঁস নেয়। তখন ছেলেকে খবর দিলে আমার ছেলে এসে তাকে নামিয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত লিপি দে ও উজ্জল কান্তি দে’র সংসারে ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
গুইমারা থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াছিন জানান, হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিহতের স্বামী উজ্জল কান্তি দে ও তার ছোট ভাই লিটন দেকে আটক করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা জানান, সকালে নিহতের স্বামী তাকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে মৃত্যু ঘোষণা করা হলে তার স্বামী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ এখনও সুরতহাল করেনি। সুরতহাল শেষ হলে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ গুইমারার বড়পিলাক গ্রামে যৌতুকের জন্য স্ত্রী ও পুত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী সাবের আলী। এ ঘটনায় স্বামীসহ চারজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ মার্চ ২০১৬/শরীফ