বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় বিলের জমি ও ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় লিটন মিয়া (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছে। সে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের পাটানপাড়া গ্রামের জিন্নাত আলী আকন্দের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। শনিবার সকালে ওই গ্রামের ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে যুবলীগ নেতা লিটন মিয়া (২৬) আহত হয়। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়ার পর রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিএসআই শাহ আলম লিটন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শনিবার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ এবং পরাজিত প্রার্থী সেলিমের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে উপজেলা প্রশাসন পাঠানপাড়া গ্রামে রোববার বেলা ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।
দিগদাইড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বেলাল হোসেন সাগর জানান, নিহত লিটন ইউনিয়ন কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা হাবিবুর রহমান জানান, আহত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। ১৪৪ ধারা তুলে নেয়া হয়েছে তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/৩ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ