উখিয়ার কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় অভিভাবক, সুশীল সমাজ ও প্রাক্তন ছাত্ররা রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রায় একঘন্টা বিদ্যালয়ের সামনে উখিয়া-টেকনাফ সড়কে মানববদ্ধন করেছে। এ সময় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন বক্তারা।
মানববদ্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, কুতুপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝুমঝুম নাহার বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অভিযোগ জন্ম দিয়েছেন। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল বিদ্যালয়ের আঙিনার শোভাবর্ধনকারী অর্ধশত বছরের পুরনো তিনটি ইউক্যালিপটাস গাছ মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকায় একজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর কাছে বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ৮এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোক্তার আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। ইউএনও'র নির্দেশে ওইদিন প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেন সহকারি শিক্ষা অফিসার মোক্তার আহমদ। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই শোকজের জবাবসহ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়।
এ নিয়ে মানববন্ধনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নুুরুল হক খাঁন, প্রাক্তন ছাত্র ওবাইদুল হক চৌধুরী, মাহামুদুল হক, পলাশ বড়ুয়া, গোলাম আকবর, কফিল উদ্দিন, নুরুল আবছার, শাহেদুল ইসলাম, রাশেদুল হক, আপ্পু বড়ুয়া, রুমন বড়ুয়া, সজিব বড়ুয়া, উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য অরবিন্দু বড়ুয়া, রনতোষ বড়ুয়া, নিতোষ বড়ুয়া, মকবুল হোসেন, মুফিজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম ও অভিভাবকবৃন্দ।
মানববন্ধনোত্তর গণস্বাক্ষর কর্মসূচী শেষে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)শামীম ভূইয়ার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। এদিকে এসব অভিযোগে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য পদ থেকে অরবিন্দু বড়ুয়া নামের এক অভিভাবক পদত্যাগ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ