ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দুধস্বরা গ্রাম থেকে আটক ১৮ নারী জামায়াত কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবিরের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর উপজেলার দুধস্বরা গ্রামে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। মঙ্গলবার তাদের সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার চরম জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে হামিদ আযাদ বলেন, ''সোমবার ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার দুধসরা ভবানীপুর গ্রাম থেকে পুলিশ জামায়াতের যে ১৮ জন মহিলা কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে তারা সবাই সম্পূর্ণ নির্দোষ। অযথা হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ঝিনাইদহ জেলায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার চরম জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। পুলিশের অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়ে তারা বাড়িতে থাকতে পারছে না। তিনি বলেন, জামায়াতের মহিলা কর্মীদের গ্রেফতার করার ঘটনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, পর্দানশীন ধার্মিক মহিলারাও আজ সরকারের জুলুম থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। জামায়াতের নিরপরাধ মহিলা কর্মীদের পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দী করে রাখছে। সরকারের এহেন জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে গ্রেফতারকৃত ১৮ জন মহিলা কর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।''
বিডি-প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ