যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্লাপুরে আবুজার (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের পায়ে শেকল পরানোর ঘটনায় পুলিশ তার পিতা ও শিক্ষককে আটক করেছে। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এ দুজনকে আসামি করে ওই ঘটনায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেছিলেন। ওই রুলে শিশুটির চিকিৎসার ভার নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে মাগুরার ভায়নার মোড় থেকে পুলিশ আবুজারকে পায়ে শেকল পরিহিত অবস্থায় উদ্ধার করে। আবুজার সেসময় পুলিশকে জানিয়েছিল, হাফেজি পড়তে না চাওয়ায় তার পিতার সম্মতিতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্লাপুর দরিলাকুড়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার জাহাঙ্গীর আলম তার পায়ে শেকল পরিয়ে রাখে। সেখান থেকে সে পালিয়ে বাসযোগে মাগুরা পৌঁছায়। ঘটনাটি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হলে বুধবার তা হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আবু খালেদ আল মামুন। এরপর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আবুজারের পিতা বাঘারপাড়া উপজেলার ইন্দ্রা গ্রামের আব্দুল আলিম ও মাদ্রাসা সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনকে পুলিশ আটক করে।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেছেন, ঘটনা জানার পরই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং অভিযুক্তদের আটক করতে বাঘারপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা