কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১৫ দফা দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নৌ শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আজ দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
এতে লঞ্চ, বাল্কহেড, তেলবাহী ট্যাংকার, বালুবাহী নৌকা, লাইটার জাহাজসহ সকল প্রকার নৌযান শ্রমিকরা একাত্মতা প্রকাশ করে ধর্মঘট পালন করছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য নিয়ে আসা প্রায় দু’শতাধিক কার্গো জাহাজ আশুগঞ্জ নৌ বন্দরে আটকা পড়েছে।
বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জের সাথে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ৬ টি নৌ-রুটের ৫ টি জেলার (সিলেট, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার) ১৪ টি উপজেলার লঞ্চ যোগাযোগ। চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লঞ্চ যাত্রীদের।
বন্ধ হয়ে গেছে নদী বন্দরের সকল প্রকার কার্যক্রম। বেকার হয়ে পড়েছে বন্দরের প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক। এছাড়া কার্গো জাহাজ থেকে মালামাল খালাস বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ১১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ১৮ টি জাহাজ আশুগঞ্জ সার কারখানা ঘাটে আটকা পড়েছে।
এতে করে কার্গো জাহাজ থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সার সরবরাহ বন্ধ থাকায় সার সংকটের আশংকা রয়েছে। পূবাঞ্চলীয় কার্গো মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ নাজমুল হোসাইন হামিদ জানান, ধর্মঘটের কারণে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত জরুরি কাচাঁমাল নিয়ে জাহাজ আটকা পড়ায় মালামাল পরিবহণে ব্যাহত হচ্ছে। এ মুহুর্তে জাহাজ বন্ধ থাকলে আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
বিডি-প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৬/ হিমেল-১৫