নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চামটা গ্রামের আমির হোসেনের পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করার পর দুই আসামী গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য সাত দিনের সময় দিয়েছে। অন্যথায় বাদীর আড়াই বছরের শিশুপুত্রকে গুম ও হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
আজ সকালে উপজেলার বনপাড়াস্থ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেনের পরিবার এই অভিযোগ করে দ্রুত এই পরিস্থিতি সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলন ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ১৮ মার্চ প্রতিবেশী মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৫৮) ও তার সঙ্গীয় ৭/৮ জন সন্ত্রাসী লাঠি, সরকী ও রড নিয়ে আমির হোসেনের পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলায় আমির হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী রেবেকা বেগম (৩৮) ও মেয়ে আলমিনা (২০) গুরত্বর আহত হয়। পরে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনেরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আমির হোসেন বাদী হয়ে হযরত আলী, তার ছেলে মনিরুল (৩২), মনিরুলের স্ত্রী সুরমা (২৫), শুকুর আলীর ছেলে সাদ্দাম (৩৫) ও সাইদুল (২২) সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ সুরমা ও সাইদুলকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং অন্যান্য আসামী পলাতক থাকে। সম্প্রতি দুই আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক আসামীদের সাথে গোপনে বৈঠক করে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য সাত দিনের সময় দিয়েছে।
অন্যথায় বাদীর আড়াই বছরের শিশুপুত্র হৃদয়কে গুম ও হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকীর ফলে চরম নিরপাত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হুমকি বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৬/ হিমেল-১৯