ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার ৩টি উপজেলার ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনদিনের টানা বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে রামগতির চর আব্দুল্লাহ, চর গজারিয়া ও মৌলভীর চর, কমলনগরের চর কালকিনি, চর ফলকন ও সদরের চর রমনী মোহন ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এসব এলাকা এখন ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। আজও আব্যাহত রয়েছে মাঝারি দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ভেসে গেছে কয়েকটি কাঁচা ঘর ও মাছের ঘের। কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও অধিকাংশ মানুষ গবাদি পশু, হাঁস,মুরগী ও মালামাল হারানোর ভয়ে এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে আসেননি বলে মেঘনা উপকূলের বাসিন্দারা জানান। তবে এসব স্থানে শুকনো খাবার পৌঁছেনি বলে অভিযোগ তাদের। জেলার অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্তজেলা প্রশাসক মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় 'রোয়ানু' মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপকূলবর্তী প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে, ইতোমধ্যে ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের আত্বীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।ি নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে আরও মানুষ নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ চলছে, খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে, মেডিকেল টিম গঠন করাসহ সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য জেলায় ১টি ও ৫টি উপজেলায় ৫টিসহ মোট ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ মে, ২০১৬/ আফরোজ