রাঙামাটিতে ৫টি মোটরসাইকেলসহ অভিযুক্ত ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বেলা ১২টার দিকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. শহীদুল্লাহ হক এ তথ্য জানান।আটককৃতরা হলেন, সুমন চাকমা (২৪), নিপন ত্রিপুরা (২৬), মনছুর (২৮), রবিউল হাসান রাকিব (২০), শেখ মুহাম্মদ হুমায়ন কবির (২৯), আবুল ফজন শামীম (৩৮), আলাউদ্দীন (৩৬), এরশাদ (২৩), তারেক (২৭), আব্দুল মাবুদ (২৯), অংচিং মং মারমা (২৫)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টানা চার রাত অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. শহীদুল্লাহ হক বলেন, সম্প্রতি রাঙামাটি শহরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা উদ্বেগ জনকভাবে বেড়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একাধিক মামলাও হয়। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২৬ মে রাত থেকে টানা চারদিন রাঙামাটি পুলিশ সুপার সৈয়দ তারেকুল হাসান নেতৃতে জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. শহীদুল্লাহ হক, পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চিত্তর রঞ্জন পাল, কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা মো. রশিদ ও পুলিশ সদস্য ইউসুফ ও সৌরজিতসহ পুলিশের একটি যৌথদল মোটরসাইকেল চোর ও পারচারকারীদের ধরার জন্য অভিযান চালায়। রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, কাঠালতলী, কলেজ গেইট, বনরূপা, পুলিশ লাইন, উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন নিচের পাড়া, মোহসেন কলোনী এলাকায় বেশ কয়েকবার এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় মোটরসাইকেল চোর ও পাচারকারীর গ্রুপ লিডারসহ ১১জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫টি মোটরসাইকেলসহ ডিজিটাল নাম্বার প্লেট তৈরি সরঞ্জাম, মোটর সাইকেল খোলার যন্ত্র, ট্যাংকি লগ কাবার, সরকারী হলোগ্রাম, গ্যাস র্বানারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল চুরি ও পাচার করার কথা স্বীকার করেন। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এসব কাজ করে আসছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে রাঙামাটিতে মোটরসাইকেল চোর চক্র আটকের ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় করে কোতয়ালী থানার মাঠে। ক্ষতিগ্রস্থরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। আবার অনেকে নিজেদের চুরি হওয়া মোটরসাইকেল কাগজপত্র নিয়ে থানায় ভিড় শুরু করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/হিমেল