সাতক্ষীরায় ১৬ কেজি ৩১৮ গ্রাম স্বর্ণ ও একটি মটরসাইকেলসহ এক চোরাচালানীকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদরের তলুইগাছা সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ওলিউজ্জামান কেড়াগাছি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্পর হাবিলদার আকরাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ৩৮ বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা সামসুল আমল জানান, তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওলিউজ্জামানের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় তাকে আটকের পর দেহ তল্লাশি করে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির তলুইগাছা ক্যাম্প অধিনায়ক সুবেদার আবুল কাসেম জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে একজন মোটর সাইকেল চালককে ক্যাম্পের সামনে থামানো হয়। এ সময় টহলরত বিজিবি হাবিলদার আকরাম তাকে ক্যাম্পে এনে তল্লাশি চালায়। পরে তার ব্যবহৃত হিরো হোন্ডা মোটর সাইকেলের (সাতক্ষীরা হ ১২- ৮০৫৮) টুল বক্স খুলে মোট ১৬ কেজি ৩১৬ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। এ সময় গ্রেফতার করা হয় মোটর সাইকেল চালক মো. আলিউজ্জামানকে।
তিনি বলেন, বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ লোকমান হামিদের উপস্থিতিতে এই স্বর্ণ টুল বক্স থেকে বের করে ওজন করা হয়। এর দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা।
গ্রেফতার আলিউজ্জামান বিজিবিকে জানিয়েছে যে, তিনি এই স্বর্ণের বাহক মাত্র। কলারোয়ার কেড়াগাছির স্বর্ণ চোরাচালানি মহিদুল মেম্বর, রুস্তম আলি ও ফিরোজ হোসেন তার কাছে সকালে এই স্বর্ণ ভারতে পার করে দেওয়ার জন্য দিয়েছেন।
তিনি জানান, মোটর সাইকেলে এই স্বর্ণ কেড়াগাছি ঘাটে নিয়ে যাবার পর সোনাই নদীতে গোসল করার নামে তার স্ত্রী ভারতের তারালির সোনা চোরাচালানি তাপসের স্ত্রীর হাতে তুলে দেবে বলে কথা ছিল।
এ জন্য তার মজুরি বাবদ কেড়াগাছি ইউপি মেম্বর মহিদুল তাকে এক হাজার টাকাও দিয়েছেন বলে জানান আলিউজ্জামান।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরও জানান, এই স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ ও এনায়েত