প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে বান্দরবানে ভিড় করেছে হাজার হাজার পর্যটক। পর্যটকদের উপস্থিততে বান্দরবান এখন ভরপুর হয়ে উঠছে। বান্দরবানে রয়েছে প্রাকৃতিক ঝর্ণা, পাহাড়ের উপর লেক, দিগন্ত ছোঁয়া পাহাড়, ১১ আদিবাসীর বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি-সংস্কৃতি। পাহাড়- খরস্রোত নদীর আর দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ বনানী এসব কিছু মিলিয়ে যে কোনো মানুষকে কাছে টানতে সক্ষম পার্বত্য জেলাটি।
যান্ত্রিক জীবনের নানা কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ঈদের ছুটিতে অবকাশ যাপনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি খ্যাত নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, বগালেক, মেঘলাসহ বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দীগন্ত ছোঁয়া প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখতে এবারও অসংখ্য পর্যটক বান্দরবানে উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনিরা জানান, বান্দরবান আমার একটি প্রিয় জায়গা, গত ঈদে এসে মেঘ দেখতে না পেলেও এবার এখানে এসে খুব কাছ থেকে মেঘ দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা হারুন সওদাগর জানান, মেঘ আমাদের গাঁ ছুয়ে যাচ্ছে, হালকা হালকা ঠাণ্ডা লাগছে, এই অনুভূতিটি খুবই ভাল লাগছে। মেঘলায় রয়েছে একই স্থানে রয়েছে দুটি ঝুলন্ত সেতু, যা দেশের অন্য কোথাও নেই। মেঘলায় আরও রয়েছে মিনি সাফারি পার্ক, শিশু পার্ক, প্রাকৃতিক লেক, চিড়িয়াখানা, চা বাগানসহ পর্যটকের মন ভোলানো সমস্ত আয়োজন। এছাড়াও শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে নীলাচল ‘পর্যটন স্পট’ যেখানে পাহাড়ের সাথে আকাশ গড়ে তুলেছে মিতালী। দেশী-বিদেশি যে কোন পর্যটক স্পটটিতে গিয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য। এছাড়া এ জেলায় রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ বিজয় (স্থানীয় ভাষঅয় তাজিংডং), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ক্যাওক্রাডংসহ অসংখ্য পাহাড়। রয়েছে বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড়। যেখানে অনায়াসে মেঘের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্থানও বটে। এছাড়াও রুমা উপজেলায় রিজুক ঝর্ণা নিজস্ব গতিতে সব মৌসুমেই থাকে সচল। জেলা শহরের অদূরে শৈলপ্রপাতের স্বচ্ছ পানি বয়ে চলছে অবিরাম ধারায়।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে আর্কষণীয় পর্যটন শহর বান্দরবান। এবারের ঈদে বান্দরবানে আমরা ১০ লক্ষ পর্যটকের প্রত্যাশা করছি। আর ঈদে হোটেল মোটেলগুলোতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়।
বাস মালিক কমিটির নেতা ইসলাম কোম্পনি জানান, ঈদের আগে পড়ে ১০ দিনের বাসের সকল টিকেট বুকিং হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, পর্যটকদের স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। পর্যটন এলাকাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ
