বরিশাল নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চা দোকানি কবির হোসেন। বাড়তি আয়ের আশায় আত্মিয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঈদুল আজহার দিন ৮ পিচ গরুর চামড়া কিনেছেন তিনি। প্রতি পিস চামড়া কিনেছেন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকার মধ্যে। তার প্রতি পিস চামড়ার গড় ক্রয়মূল্য ১ হাজার ১শ’ টাকা।
কিন্তু ওই দিন বিকেলে নগরীর পদ্মাবতি আড়তে চামড়ার আড়তদাররা ওই চামড়ার মূল্য বলেছে গড়ে ৯শ’ টাকা করে। এতে মাথায় হাত উঠেছে কবিরের। লাভ তো দূরের কথা শেষ পর্যন্ত ৮পিস চামড়া মোট ২ হাজার ৬শ’ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী কবির। জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে চামড়া কিনে তার মতো লোকসানের মুখে পড়েছেন বরিশালের আরো অনেক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী।
বরিশাল হাইড এন্ড স্ক্রিন মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শাহিন জানান, এবার সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও প্রতি ফুটে ১০ টাকা বেশি দরে চামড়া কিনেছেন তারা। আর মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে ফুট হিসাবে না মেপে চামড়ার সাইজের আকার দেখে ক্রয় করেছেন।
শাহিন জানান, এবার লবনের দাম বেশি হওয়ায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত খরচ অনেক বেড়ে গেছে। কিন্ত মৌসুমী ব্যবসায়ীরা এসব হিসাব-নিকাশ না করে ব্যবসায় নেমে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার