চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলাতেই এবার চামড়ার দাম নেই বললেই চলে। অনেকে ক্রেতা না পেয়ে পশুর চামড়া মাটিতে পর্যন্ত পুঁতে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। গত বুধবার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে ৬২টি কোরবানির পশুর চামড়া ক্রেতা না থাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন পশুর মালিকরা।
ট্যানারি মালিকদের দর বেধে দেয়ার ফলে এবার জেলায় খাসির চামড়া ৩০ থেকে ৮০টাকায় এবং গরুর চামড়া ৫শ' থেকে ৭শ' টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বালুবাগান মহল্লার আম আড়ৎদার মো. আসলাম বলেন, তিনি ৯হাজার ৮শ' টাকায় একটি কোরবানির খাসি কিনেছিলেন। কোরবানির পর খাসিটির চামড়া বিক্রি করতে রিকসাযোগে পাঠিয়েছিলেন শহরের নিমতলা ফকিরপাড়া এলাকার একটি চামড়ার আড়তে। সেখানে খাসিটির চামড়ার দাম দেওয়া হয় মাত্র ৩০টাকা। তার বাড়ি থেকে চামড়া বিক্রি করতে আড়তে রিকসার যাতায়াত ভাড়াই ৩০টাকা। চামড়া বিক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ট্যানারি মালিকদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামে কোন চামড়াই কেনেনি আড়ৎদাররা। তারা বিক্রেতাদের অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, এবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশে চামড়ার দাম কম থাকায় এবার চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএম আবুল এহসান এবং রহনপুর ৫৯বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. হাসান মোরশেদ জানান, চামড়ার পাচার ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। ঈদের পর এক মাস জেলার সীমান্ত জুড়ে এই সতর্কাবস্থা থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ