সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে থানায় নির্যাতন, গালিগালাজ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধার অভিযোগে ঝিনাইদহের একটি আদালতে পুলিশের এএসআই আরিফসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার মিলন রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন, ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে আসমাউল হুসাইন। মামলার বাদী হরিণাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের মৃত গোলাপ মালিথার ছেলে মোঃ আশির উদ্দীন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি রেহেনা খাতুনের সাথে বাদীর স্ত্রী হাসিনা খাতুনের সুসম্পর্ক থাকায় এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা লোন উঠিয়ে দেন। এই টাকা মাসে মাসে পরিশোধ কার প্রতিশ্রুতি দেন আসামি রেহেনা। পরবর্তীতে লোনের টাকা চাইলে আসামি রেহেনা নানা অজুহাত দেন এবং বিভিন্ন লোক দিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন। গত ১১ সেপ্টম্বর আসামি রেহেনা টাকা দেওয়ার কথা বলে দেড়শ টাকার স্ট্যাম্পসহ বাদীর ছেলে উজ্জলকে পাগলাকানাই এলাকায় আসতে বলেন।
টাকা নিতে আসা মাত্রই আসামি রেহেনা ও তার বোনের ছেলে আসমাউল অজ্ঞাত ৪/৫ জন লোক নিয়ে বাদীর ছেলে উজ্জলের গতিরোধ করে। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা এএসআই আরিফ বাদীর ছেলে উজ্জলকে দেখে বলে ওঠেন, 'আমি তোকেই তো খুঁজছি'। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে টেনে হ্যাঁচড়ে ইজিবাইকে তুলে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে যায়।
ইজিবাইকের মধ্যে এএসআই আরিফ উজ্জলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'তুই কোর্টে চাকরি করিস। আর আমি আইন জন্ম দিই। তোর চাকরী আমি খেয়ে নেব। তোর মতো কত মানুষের আমি চাকরী খাইছি।' পরবর্তীতে আদালতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সোহেল রানা বাদীর ছেলে উজ্জল ও তার বন্ধুকে থানা থেকে নিয়ে আসেন। আসামি রেহেনা খাতুনের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসামি এএসআই আরিফ ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। বাদীর আইনজীবী এড. শওকত আলী জানান, মামলাটি আদালত গ্রহণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছে। আদালতের আদেশের কপি সদর থানায় বিধি মোতাবেক পৌঁছে যাবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল