লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন রাজ্জাকুল (১৮) ইসলাম নামের এক বখাটে। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার কেতকীবাড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে আকতারা বেগম (১৬) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের গোতামারী গ্রামের ফজলে আলীর ছেলে রাজ্জাকুল মেয়েটিকে উত্যক্ত করে আসছিল। মেয়েটির বাড়ির পাশে রাজ্জাকুলের নানার বাড়ি। ছোটবেলা থেকে সেখানেই বসবাসের পাশাপাশি বর্তমানে রাজমিস্ত্রির কাজ করে রাজ্জাকুল। সম্প্রতি রাজ্জাকুল মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবার তা প্রত্যাখান করে। এই অবস্থায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে রাজ্জাকুল।
এ নিয়ে মেয়েটির ভাই রুবেল বাদি হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি এজাহার নিয়ে গেলে প্রথমে তা তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব নেন এসআই মুসা ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই মুসা বলেন, ৯ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ের এফিডেভিট আমার কাছে আছে। তবে মামলাটি নথিভুক্ত না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেয়ের ভাই প্রথমে একজনকে আসামি করে মামলা নিয়ে এসেছিল। পরবর্তীতে মোট ৬ জনকে আসামি করে এজাহার নিয়ে আসায় তা নথিভুক্ত করা হয়নি।’
আকতারা বেগমের ভাই রুবেল বলেন, ‘আমার নাবালক বোনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে রাজ্জাকুল। সেই থেকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার কোন হদিস পাচ্ছি না। এ নিয়ে থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড না করে উল্টো অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়েছে।’ তাই হাতীবান্ধা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুর রহমানসহ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু মেয়েটির বিয়ের বয়স পূর্ণ হয়নি। সেহেতু কোন এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
এ ব্যাপারে জানতে হাতীবান্ধা থানার ওসি রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকাবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ