আজ বাদে কাল ভোট, আতঙ্কিত ভোটাররা। গত ইউপি নির্বাচনে সংহিসতার ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের এমহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। ৩১ অক্টোবর ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আবারো ওই ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের আশংকা করছে ওই ওয়ার্ডের ভোটাররা।
অভিযোগ উঠেছে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
অপরদিকে সরকার দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থী সেরেকুল ইসলাম ভয়ভীতির কথা অস্বীকার করে বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলে ভোট দিতে আসবে। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশে সকলে ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।
সরেজমিনে, সদর উপজেলা নারগুন ৪ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের মধ্য চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আশে পাশের লোকজন সংঘর্ষের আশংকায় ঘর ছাড়ছে বলে একাধিক লোকজন জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার জানান, ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অহেতুক ঝামেলায় না গিয়ে ভোটের দিন বাড়ি ছেড়ে দূরে থাকাই ভালো।
সফিকুল নামে এক বৃদ্ধ বলেন, "ভোট দিবা জাহানে কি জীবনটা হারামো হামরা, ভোটের সময় ভাই ভাই, ভোট পরে কারো কোন খবর নাই। কিছু লোক এলাকাত ভয় দেখাছে ভোট কেন্দ্রে না যাবাত তানে"!
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পয়গাম আলী বলেন, এখানে ভোটের কোন পরিবেশ নাই। আমাকে মানুষের কাছে যেতে বাধা দিচ্ছেন সরকার দলীয় লোকজন। ভোটের দিন কেন্দ্র দখলের আশংকা করছি। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, নারগুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮টি ওয়ার্ডে ধানের শীর্ষ মার্কা নিয়ে পয়গাম আলী ৫ হাজার ১৮টি ভোট ও নৌকা মার্কার প্রার্থী সেরেকুল ইসলাম ৪ হাজার ৯৪৩ ভোট পায়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ