পিরোজপুরে শিশুকন্যা জেসমিন আক্তারকে হত্যার দায়ে পিতা মহারাজকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মহারাজ হাওলাদার মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
অন্যদিকে, একই আদালত মঠবাড়িয়ায় গৃহবধূ আকলিমা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী সেলিম বেপারিকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম বেপারি উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী বেপারির ছেলে।
জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামের পিতা মহারাজ তার আট বছরের শিশু কন্যা জেসমিনের নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি বীমা করেন। বীমার একটি কিস্তি হিসেবে এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বীমার টাকার লোভে ২০০৫ সালের ৪ মে রাতে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি খালে ফেলে দেন। এরপর জেসমিন পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। জেসমিন আক্তারের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মামা আব্দুস সালাম স্থানীয় থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার কারণ উল্লেখ করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মহারাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, ২০০৯ সালের ৮ জুলাই ভোরে দাম্পত্য কলহের জের ধরে সেলিম বেপারি স্ত্রী আকলিমাকে মারপিট করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ-১৬