চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুরে সমন জারি করতে যাওয়া চট্টগ্রাম আদালতের এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন একেএম ইমতিয়াজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী।
রবিবার সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে ইমতিয়াজুলকে আট মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.সাজ্জাদ।
বাঁশখালীতে আদালত প্রতিষ্ঠার পর থেকে মামলা দায়েরের দিনেই বিচার শেষ করা অর্থাৎ সামারি ট্রায়ালের ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
দন্ডিত একেএম ইমতিয়াজুল ইসলাম একজন প্রকৌশলী এবং একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
শনিবার বিকেলে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নে কালীপুর গ্রামে তার বাড়িতে লাঞ্চিত হন চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার আজিম উদ্দিন জুয়েল।
বাঁশখালী আদালতের বেঞ্চ সহকারি জনি খন্দকার জানান, ইমতিয়াজুলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১৯ থেকে একটি সমন জারি হয়। সমনটি চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলে প্রসেস সার্ভার আজিম উদ্দিন জুয়েল শনিবার বিকেলে সেটি নিয়ে ইমতিয়াজুলের বাড়িতে যান।
ইমতিয়াজুল সমন গ্রহণ না করে উল্টো তাকে ভূয়া কর্মকর্তা হিসেবে অভিযুক্ত করে। এসময় ইমতিয়াজুল ও তার সহযোগি কয়েকজন মিলে জুয়েলকে মারধর করে উলঙ্গ করে ফেলে। এরপর মাথার চুল মাঝখান দিয়ে দুই ইঞ্চি পরিমাণ সোজা করে কেটে ন্যাড়া করে দেয়।
এদিকে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, আদালতের কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় থানায় পৃথকভাবে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ইমতিয়াজুলকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন -১১