সাভারে সরকারি কর্মকর্তাদের নামে তৈরি জাল সিল, প্যাড ও সনদসহ এক ভুয়া আইনজীবী ও তার সহকারীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় সাভার উপজেলার গেন্ডার রাজাবাড়ী এলাকায় কর সার্কেল অফিসের পাশের ভবন রজ্জব আলীর বাড়ির নিচতলায় এ অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছে, সাভার তালবাগ এ,১৭/২ এলাকার তরপ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭) ও ধামরাই রোয়াইল এলাকার আব্দুল জলিলে ছেলে সোহেল রানা (২৯)।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, সাভারের গেন্ডা এলাকায় আয়কর অফিসের পাশের ভবনের নিচতলায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মিজানুর রহমান অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ভুয়া আইনজীবী সেজে নিজেই বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সিল বানিয়ে ও ভুয়া আয়কর প্রত্যায়নপত্রসহ আয়কর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সনদ প্রদান করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এস এম সাইদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভুয়া আইনজীবী মিজান ও তার সহকর্মী সোহেলকে আটক করা হয়।
তবে আটককৃত মিজানের স্ত্রী রিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ছিলেন। গত দুই বছর আগে তার স্বামীর বড় ভাই কর অফিসের কম্পিউটার অপারেটর সামচ্ছুদ্দিন তাকে এ পেশায় নিয়োজিত করেন। এর পর থেকেই তার স্বামী আইনজীবী হওয়ার জন্য এলএলবিতে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া নকল সিলের মাধ্যমে তৈরি আয়করের সনদ তার স্বামীর বড় ভাই সামচ্ছুদ্দিনের বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া গত কয়েক দিন আগে তার স্বামীর সাথে বড় ভাই সামচ্ছুদ্দিনের ঝগড়া হওয়ায় তিনি তার স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার, সাভার ও ধামরাই সার্কেল অঞ্চল- ১২ রনজিত কুমার সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আটককৃত মিজান তার স্বাক্ষর ও সীল নকল করে বিভিন্ন ভুয়া সনদ প্রদান করে। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সামচ্ছুদ্দিনের বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) এস এম সাঈদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই ভুয়া আইনজীবীকে আটক করা হয়। এসময় বিপুল পরিমান নকল সিল ও ভুয়া সনদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের মাধ্যমে আটককৃতদের সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ/৫