লক্ষ্মীপুর জেলায় এবার দুই লাখ ৪৭ হাজার ৮৭০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা ছিল ১১ লাখ ৭০ হাজার ৭২০টি। এর মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ বই পাঠানো হয় লক্ষ্মীপুরে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে আগে ভাগে বই পৌঁছেছে। কিন্তু চাহিদার অনুযায়ী বই না পাওয়ায় ফলাফল বিপর্যয়ের আশংকা করছেন অভিভাবকরা।
সদর উপজেলার পশ্চিম টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লক্ষ্মীপুর টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে দেখা যায় পাঠদানের সময়ে বিদ্যালয়ের বাইরে খেলাধূলায় ব্যস্ত রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাচ্চারা বই না পেয়ে পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। খুব দ্রুত শতভাগ বই নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, বই না পেয়ে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অভিভাবকদের চাপের মুখে পড়েছেন বলে জানান তারা।
এবার জানুয়ারির ১ তারিখে বই বিতরণ করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জানুয়ারির শুরুতেই সকল শিক্ষার্থীর হাতেই সব কয়টি বই বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু বই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে সরবরাহ করতে পারেনি। এতে করে সকল শিক্ষার্থীর হাতে সব বই পৌঁছানো যায়নি।
দু'একদিনের মধ্যে সব বই পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করে অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এ ই শিক্ষা কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা