কনকনে হিমেল বাতাস ও কুয়াশার সঙ্গে শৈত্য প্রবাহ দিনাজপুরে অব্যাহত রয়েছে। আর শৈত্য প্রবাহের কারণে প্রচণ্ড শীত ও ঘনকুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে পড়েছে। এই শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আজ শনিবার দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
বিকালের পর থেকে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যার পর পরই শীতের প্রকোপ বেড়ে যায়। রাত যত গভীর হয় শীতের মাত্রা তত বৃদ্ধি পায়। রাতে টিপ টিপ করে কুয়াশা পড়ায় রাস্তাগুলো স্যাত স্যাতে অবস্থায় দেখা যায়। ভোরের দিকে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী দুরপাল্লা যান নৈশ কোচ ও মোটরসাইকেল গাড়ির হেড লাইড জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ডিপিও শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। দিনাজপুরে শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
'কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে শৈত্যপ্রবাহ কখনো কমবে আবার কখনো বাড়বে' বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
বিডি প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম