চালকসহ তিন আরোহী নিয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে পদ্মায় পড়ে যাওয়া মাইক্রো তিন ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সাথে সাথেই আরোহীরা তীরে উঠতে সক্ষম হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ জানায়, কুয়েত থেকে আসা স্বপন মন্ডল (৫০) নামে এক যাত্রী ঢাকা হযরত শাহজাজাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাকে নিয়ে খালাতো ভাই রবিন মন্ডল (৪৫) ফরিদপুরেরর ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু ফেরিতে উঠার জন্য মাইক্রোটি পন্টুনে উঠে পার্কিং করার সময় পকেট দিয়ে পদ্মায় পরে যায়। পরে গ্লাস খুলে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন দুই আরোহী ও চালক।
রবিন মন্ডল ছিলেন সামনে চালকের সাথে বসা। চালক বের হওয়ার সময় সেই জানালা দিয়ে রবিন বেরিয়ে পড়েন। আর পেছনে বসা স্বপন মন্ডলও জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। সকলেই সুস্থ আছেন। মাইক্রোটি উদ্ধারের পর তাদের মাল বুঝে নিয়ে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাইক্রোটি ভাড়া করা হয়েছিল। মাইক্রোচালক রাজিব পলাতক রয়েছেন। মাইক্রোটি শিমুলিয়া ঘাটের ওয়ার্কসপে মেরিন বিভাগের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ডুবরি এনে রেকার দিয়ে মাইক্রো উদ্ধারের খরচ পরিশোধসহ আইনগত বিষয়াদি সমাধানের পর মাইক্রোটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, এর আগে সকাল ৬ টায় ৩ নম্বর রো রো ঘাটের একটি পকেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি রেন্ট এ কারের মাইক্রোটি পদ্মায় পড়ে যায়। মাইক্রোটি উদ্ধারের পর এই পকেটে ফেরির যানবাহন উঠানামা শুরু হয়েছে। এই দুঘর্টনার কারণে ৩ নম্বর ফেরি ঘাটের তিনটি পকেটের মধ্যে অপর দু’টি পকেট দিয়ে ফেরি লোড কার্যক্রম চলছিল। ফেরি ঘাট দিয়ে পড়ে যাওয়া গাড়িটি ডুবুরিরা এসে শনাক্ত করেন। শনাক্তের পর শিমুলিয়া ঘাটে থাকা বিআইডব্লিউটিসির রেকার দিয়ে গাড়িটি তুলে আনা হয়।
বিডি প্রতিদিন/৭ মার্চ ২০১৭/এনায়েত করিম