বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ায় আইনি প্রতিকার চেয়ে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ ৮জনকে আসামি মামলা করে লামার ফাইতং বড় মুসলিম পাড়ার মাহাতাব হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০)। মামলা করায় আসামিপক্ষ বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের ও মারধরের হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় ফাতেমা বেগম।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মুহাম্মদ জামসেদ উদ্দিন বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের প্রতি সমন ইস্যু করে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালত ৮জন আসামির মধ্যে ৬জনকে জামিন দেয়। ২নং আসামি ফাইতং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম তার আরেক ভাই মনজুর আলমকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১লা জানুয়ারি ২০১৭ইং ফাইতং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে বাদীর বসতভিটা থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের তার সৃজিত ৪৫০টি বেলজিয়াম গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসময় আরো ছোট ছোট ৮০ হাজার টাকার চারা গাছ ভাংচুর করে। স্থানীয়ভাবে ও থানায় গিয়ে বিচার না পেয়ে আইনী প্রতিকার চেয়ে বাদী বিধবা ফাতেমা বেগম লামা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে। মামলা নং সিআর ২০/১৭, তারিখ- ৩০ জানুয়ারী ২০১৭ইং।
এবিষয়ে ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ বলেন, ফাতেমা বেগম জায়গা ক্রয় করে বসতবাড়ি ও বাগান সৃজন করেছেন। এই বাড়ি ও বাগানের মালিক সে। আসামিরা জোরপূর্বক তার সৃজিত বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যায়। মামলার বিবাদী পক্ষ অনেক প্রভাবশালী।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। অভিযোগ পেলে অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার