বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের রামসিদ্দি গ্রামে দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ মিনারা বেগমকে ৭ দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে আহত মিনারা অবশেষে পলিয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মিনারা অভিযোগ করেন, ১৮ বছর আগে রামসিদ্দি গ্রামের শফি সরদারের ছেলে সিরাজ সরদারের সাথে তার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবা স্বামী সিরাজকে ব্যবসার জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্নালংকার যৌতুক দেয়। বিয়ের ৮ বছর পর স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে আরো ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন সময় চাপ দেয়।
যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রায়ই স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন চালাতো। টাকা দিতে না পারায় ৭ বছর আগে সিরাজ গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর তিনি পৌর সভার কসবা গ্রামে বাবার বাড়ির কাছে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
গত ১৪ মার্চ তার স্বামী ফুসলিয়ে তাদের বাড়ি নিয়ে ৭ দিন আটকে রাখে। এ সময় স্বামী, ননদ, ননদের জামাতা তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। শারীরিক নির্যাতনে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে কৌশলে গত সোমবার সকালে পালিয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। মা-বাবা না থাকায় তার ছোট ২ ভাই স্বামী ও তার স্বজনদের হুমকির ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২১ মার্চ ২০১৭/হিমেল