দিনাজপুরে কথিত পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত কন্যা ও মুরিদ রুপালী বেগমকে হত্যা মামলায় আটক সন্দেহভাজন মূল আসামি শফিকুল ইসলাম বাবুকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে শফিকুল ইসলাম বাবুকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পুলিশ শফিকুলের ১০ দিনের রিমান্ড চায়। বিচারক ৭ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন।
দিনাজপুরের কোর্ট পরিদর্শক শহিদ সরওয়ারদী এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৭ মার্চ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের দরবার শরীফের খাদেম সাইদুর রহমান এবং হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি গ্রামের আরেক পীর এসহাক আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পুলিশের কাছে ওই দুইজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শফিকুল ইসলাম বাবুর জড়িত থাকার কথা জানায়।
জবানবন্ধীতে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই পীরের মতাদর্শ-আভ্যান্তরীন মতবিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে বোচাগঞ্জের কথিত পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত কন্যা ও মুরিদ রুপালী বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড বা মুল পরিকল্পনাকারী ছিলেন কুড়িগ্রামের আরেক কথিত পীর ইসাহাক আলী। আর এ কিলিং মিশনে ৬জন ছিল। যার মধ্যে কাদরিয়া মোহাম্মদী দরবার শরীফের প্রধান খাদেম সাইদুর রহমানও রয়েছে।
২০ মার্চ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী জয়মনিরহাট এলাকা থেকে শফিকুল ইসলাম বাবুকে আটক করে র্যাব। পরে রাতে তাকে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
উলেখ্য, ১৩ মার্চ দিবাগত রাত ৮টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকায় কথিত পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত মেয়ে রুপালী বেগম গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ফরহাদ হোসেন চৌধুরী দিনাজপুর পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি। তিনি দিনাজপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/২১ মার্চ ২০১৭/হিমেল