২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠান না করে একটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে বার্ষিক বনভোজন, নাচ-গান ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নলছিটি উপজেলার খাগড়াখানা মডেল হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ গত শনিবার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গণহত্যা দিবসে খাগড়াখানা মডেল হাইস্কুল মাঠে প্যান্ডেল করে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে আনন্দ আয়োজন, নাচ-গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ ও নাচনমহল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠান না করে আনন্দ উৎসব, নাচ-গান ও লটারীর ড্র অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে খাগড়াখানা মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সকালে জাতীয় গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানের পর বিকেলে বিদ্যালয়ের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠান করা হয়। তিনি নাচগান ও র্যাফেল ড্র’র কথা অস্বীকার করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাছুম বিল্লাহ বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে ওসি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, একটি মহল মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন, জাতীয় গণহত্যা দিবসে বনভোজন, নাচ-গান ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান করা উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হবে। তিনি আরও বলেন, ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জবাব চাওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব