নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজের তিন দিন পর পরিত্যক্ত পাতকুয়া থেকে আব্দুল মালেক (৩৫) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিন আকন্দের ছেলে প্রবাসী মনিরুল ইসলামের বাড়ির পরিত্যক্ত পাতকুয়া থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মালেক ওই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। আটককৃতরা হলেন প্রবাসী মনিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সুরমা বিবি (২৫), ছোট ভাই আমিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই গ্রামের মেহের আলী আকন্দের ছেলে পিন্টু হোসেন (২৬)।
নিহত আব্দুল মালেকের মামা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খয়বর আলী মন্ডল জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ভাগ্নে আব্দুল মালেককে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর থেকে আব্দুল মালেক নিখোঁজ ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আমিরুল ইসলামকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী মনিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বিবিকে হত্যা করার জন্য তার ছোট ভাই আমিরুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় নিহত মালেকের সঙ্গে চুক্তি করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মালেককে হত্যার পর লাশটি গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মাহতাব উদ্দিন মৃধা জানান, মান্দা থানার ওসির সংবাদে প্রায় ৭ ঘণ্টা অভিযানের পর পাতকুয়া থেকে আব্দুল মালেকের লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মান্দা থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, সন্দেহের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে আমিরুল ইসলামকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির ভেতরে পরিত্যক্ত একটি কুয়া থেকে আব্দুল মালেকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব