ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর কালেশ্বরগাঁও এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের সংঘর্ষে মিন্টু (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ নারীসহ আরও ৯ জন।
শুক্রবার সদর উপজেলার দেবীপুর কালেশ্বরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মিন্টু (২৫) উপজেলায় উত্তর বঠিনা এলাকার সমির উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন নুর ইসলাম (৫৫), মুহাইমিনুল হক (৩৭), লিয়াকত আলী (৬৫), নাইম (২৩), সমির উদ্দিন (৬৫), জাহানারা (৪৫), জিন্নাহ (৩৯), খদেজ খাতুন (৫০), হাসিনা (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, বেলা ২টার দিকে কালেশ্বরগাঁও গ্রামে ৫০ কাঠা জমিতে পাট রোপন করার জন্য চাষ দিচ্ছিলেন মিন্টুসহ তার পরিবারের লোকজন। এ সময় এলাকার পবার উদ্দীন খান হাল চাষে বাধা দেন। এতে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে পবার উদ্দীন খানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টুসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মিন্টু মারা যান বলে ঠাকুরগাঁও থানার এসআই খায়রুল জানান।
হাসপাতালের চিকিৎসক জাকিয়া আক্তার জুঁই বলেন, মিন্টুর মাথা ও পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়। আহত ৯ জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত মুহাইমিনুল হক বলেন, “কবলা সূত্রে ৫০ কাঠা জমির মালিক আমরা। কিন্তু দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে পবার উদ্দীন খান আমাদের এই জমিটি তার দাবি করে প্রায় সময়ই দখল করার চেষ্টা করে।”
এ বিষয়ে পবার উদ্দীন খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান সংঘর্ষে নিহতের কথা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব