কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং প্রজ্ঞাপন জারি হলেও সরকারি ওয়েবসাইটে নেই নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলরদের নাম। সেখানে রয়েছে পাঁচ বছর আগে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলরদের নাম। এছাড়া ওয়েবসাইটে নেই সম্প্রতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী এবিএমএ বাহারের নাম।
চৌদ্দগ্রামের এমপি ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার ও পৌর মেয়র মিজানুর রহমানের তথ্য ঠিক থাকলেও তাদের অফিসিয়াল ছবি দেয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকায় নাম নেই দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানের নাম। এনিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রবাসী চৌদ্দগ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রবাসীরা অভিযোগ করেন, তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগেও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্যের আপডেট নেই। এজন্য প্রবাসীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ মে শনিবার চৌদ্দগ্রামের ১১ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১১ ইউপিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এরআগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অন্য দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইটে চেয়ারম্যান হিসেবে তাদের নাম নেই। সরকারি ওয়েবসাইটে চেয়ারম্যান হিসেবে নাম রয়েছে ২০১১ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যানদের।
এরমধ্যে শুধু সংশোধন করা হয়েছে ৯নং কনকাপৈত ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদারের পরিবর্তে পুর্ননির্বাচনে বিজয়ী বেলাল হোসেনের নাম। আবার দেখা গেছে, ওয়েব সাইটে ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে শুধু বেলাল হোসেনের ছবি রয়েছে। আর কারও ছবি নেই। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইট (http://chauddagram.comilla.gov.bd) ভিজিট করলে এমনটিই দেখা যাচ্ছে।
একই ঘটনা ঘটেছে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে। সরকারি ওয়েবসাইট ভিজিট করলে দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর বুধবার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলদের নাম নেই।
এরমধ্যে শুধু দ্বিতীয়বার নির্বাচিত ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোখলেছ মিয়া, ৬নং ওয়ার্ডের মফিজুর রহমান ও ৮নং ওয়ার্ডে কাজী বাবুলের নাম রয়েছে। বাকিদের নাম ওয়েব সাইটে দেখা যাচ্ছে না।
সাইটে স্থান পেয়েছে ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিরদের নাম। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম কামাল বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রশাসনের এটা উদাসীনতা। তিনি শিগগিরই পৌরসভা ও ইউপি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আপডেটের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। টেকনেশিয়ান থেকে জেনে নিই-কেন আপডেট তথ্য দেয়নি’।
বিডি প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল