কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে অনেক এলাকার পাকা, আধাপাকা ধান ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃৃষকরা জানিয়েছে দ্রুত পানি না সরলে ধান ও সবজি পচে যাবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা-ঘাট, ভেঙে গেছে। মহারশি নদীর রামেরকুড়া পুরোনো ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে উপজেলা পরিষদ চত্বর, কোর্ট বিল্ডিং, সাব-রেজিষ্টার অফিস, পোষ্ট অফিস চত্বর ও সদর বাজার বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কলস নদীর বুরুডুবি ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে।
মালিজিকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা জানান, তাঁর ইউনিয়নের শতশত একর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১০-১৫ গ্রাম। ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, সদর ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শতশত মানুষ। শতশত হেক্টর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ৩দিনে টানা বর্ষণ ও মহারশি, সোমেশ্বরী, কালঘোষা, মালিঝি নদীর পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে তলিয়ে যাওয়া বোরো এলাকা গুলো হচ্ছে, কান্দুলী, কোচনীপাড়া, বাগেরভিটা, দাড়িয়ারপাড়, কালিনগর, বালিয়া গাঁও, জরাকুড়া, পাইকুড়া, সুরিহাড়া, মাটিয়াপাড়া, পাগলারমুখ, বনগাঁও চতল প্রভৃতি গ্রাম।
উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বলেছেন, ৪ হাজার হেক্টর ধানি জমি ও ৩শ হেক্টর সবজি ক্ষেত এখন পানির নীচে। কালবৈশাখী ঝড় ও পাহাড়ী ঢলে অধিকাংশ জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রষারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কোরবান আলী বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নিরুপনের কাজ চলছে। নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়ন ২ নং নকলা ইউনিয়ন ও গণপদ্দি এলাকার অধিকাংশ দান ক্ষেত এখন পানির নীচে। কৃষকরা ৬শ টাকা বেতনে দিন মজুর রেখে কোথাও কোথাও আধাপাকা ধান বাড়িতে আনছে। কোথাও এত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে কৃষকরা ধান কাটার আশা বাদ দিয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদীর পানি বৃৃদ্ধি পেয়ে উত্তর সন্যাসিচর এলাকা ব্যাপক প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শেরপুর সদর উপজেলা চরাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওওয়ার খবর পওয়া গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার