উখিয়ায় তিন দিনের কাল বৈশাখী ঝড়ে বোরো চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে প্রায় দুই হাজার হেক্টরের বেশি জমির পাঁকা ধান। এ পরিস্থিতিতে কৃষকেরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক জমির ফসল পচন ধরেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় বিদ্যুৎ কিছুক্ষণ পর পর যাওয়া-আসা করছে বলে গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের তথ্যমতে গত মৌসুমে উল্লেখযোগ্য উৎপাদন হওয়ায় চাষিরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষাবাদে বিনিয়োগ করায় এবার প্রায় ৬ হাজার ৪৫০হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে।
রাজাপালং গ্রামের কৃষক আলী আহমদ হতাশা নিয়ে বলেন, মাত্র একদিনের ব্যবধানে তার প্রায় চার একর বোরো ধান ধ্বংসের মুখে। যেদিন কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে ওইদিনই তার ধান কাটার কথা ছিল। বৃষ্টির কারনে ধান কাটার শ্রমিক এসে ফেরত গেছে। এখন তার পুরো বোরা ধান পানির নিচে। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি যদি কমেও যায়, তাহলেও ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। ফসলে পচন ধরেছে। একই অভিযোগ হিজলিয়া এলাকার জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তির। এভাবে রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, খয়রাতি, হরিণমারা, জাদিমুরা, কামরিয়ার বিল, সিকদার বিল, ডিগলিয়াপালংসহ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি বন্ধ হলেও ফসলি জমিতে পানি কমেনি এখনো। যার ফলে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বোরো ধানের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কৃষকেরা অনেকটা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সালাউদ্দিন মাহমুদ জোয়াদ্দার বলেন, বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া না থাকায় ৪৮ঘন্টা পর বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়েছে। যদি আবহাওয়া খারাপ হয় তাহলে আবারো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ