ঝিনাইদহের মহেশপুরের বজরাপুরের জঙ্গি আস্তানায় কাউন্টার টেরোরিজমের এডিসি নাজমুল ইসলাম ও পুলিশের এসআই মহসিন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নাজমুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখনো আস্তানাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, বজরাপুরে নব্য জেএমবির আস্তানায় সকালে অভিযান শুরু করলে ভিতর থেকে জঙ্গিরা বোমা ও গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জঙ্গি নিহত হয়। এসময় ঘরের ভিতরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আরো একজন নিহত হয়। এসময় বাড়ির মালিক জহিরুল ইসলাম ও তার ছেলে জসিমকে পুলিশ আটক করে।
তিনি আরো জানান, জেলা সদরের লেবুতলা গ্রামে জঙ্গি আস্তানা মৃত শরাফত মন্ডলের বাড়িতে পুলিশ সকালে অভিযান চালিয়ে আটটি বোমা ও একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে শামীম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। লেবুতলায় অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বজরাপুরের আস্তানায় ঢাকা থেকে বোম নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট আসার পর বাড়ির ভিতরে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
অন্যদিকে, মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামে আরেকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। অভিযান চলাকালে ‘আত্মঘাতী’ হামলায় ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
শনিবার রাত থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে হঠাৎপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে রোববার সকাল থেকে সেখানে অভিযান শুরু করে সিসিটিসি ইউনিট।
বিডি প্রতিদিন/ ০৭ মে ২০১৭/ আরাফাত