রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন সড়কে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজী ও ডাকাতি বন্ধের প্রশাসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে রাঙামাটি সড়ক ও নৌযান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
রবিবার সকাল থেকে ধর্ম ঘটের কারণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান সড়কে অভ্যন্তরিন দূরপাল্লার সকল যানচলাচল বন্ধ আছে। রাঙামাটি শহর থেকে ৬টি উপজেলায় নৌপথে ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ ।
অন্যদিকে রাঙামাটি শহরেও সিএনজি চলাচল করছে না। তাই কিছুটা বিপাকে পরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে ধর্মঘট চলা কালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাঙামাটি বিভিন্ন গ্ররুত্বপূণ সড়কে পুলিশের ব্যবপক নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে।
রাঙামাটি পরিবহন মালিক শ্রমিক পরিষদের সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, দীর্ঘ দিন ধরে নামধারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সশস্ত্র গ্রুপের রাঙামাটি-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান সড়কে ডাকাতি শুরু করেছে। এ সময় তারা সাধারণ মানুষকে মারধরও করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া তাদের দেওয়া নিদিষ্ট চাঁদার টোকেন তো আছেই। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে খুন ,গুম, অপহরণ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ঘটনা তো প্রতিদিন ঘটছে । এসব কারণে পাহাড়ের মানুষ এখন নিরাপত্তাহীন।
জানা গেছে, অবিলম্বে প্রশাসন যদি এ বিষয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ না নেয়, তাহলে অনিদিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। এ ব্যাপারে রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. শহীদুল্লাহ জানান, "সম্প্রতি সময় রাঙামাটি যেসব এলাকায় ঢাকাতি ও চাঁদাবাজীর ঘটনা ঘটেছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও আটকরা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২১