পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা অভি গাজীকে হত্যা ও নারী ব্যবসায়ী পপি বেগমের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর শহর আওয়ামী লীগ ও ব্যবসায়ী সমিতি পৃথক পৃথক এসব কর্মসূচি পালন করে। এতে শহরের ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কলাপাড়া প্রেসক্লাব সড়কের সামনে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বিপুল হাওলাদারের সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সাবেক মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মনজরুল আলম, উপাধ্যক্ষ শহিদুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, ছাত্র নেতা মাহামুদুল আলম টিটো ও পৌর কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন সোহাগ প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় স্থানীয় মনোহরী পট্টিতে পৌর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে দোকানপাট বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা ঘণ্টাব্যাপী মনববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ফিরোজ শিকদার, শাহ আলম, দিদারুল আলম বাবুলসহ একাধিক ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, গত ১ মে ছাত্রলীগ নেতা বরকাতুল ইসলাম অভি গাজী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন হত্যাকরী গ্রেফতার না হওয়াতে পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন তারা। একই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার না হলে কলাপাড়া উপজেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান্ বন্ধ করে কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।
নিহত অভির স্ত্রী স্বর্না আক্তার মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন অসহয় মা হিসেবে আমার স্বামী হত্যাকারীদের বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে কলাপাড়া ছাত্র কল্যান ক্লাব নামে একটি সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীরা দুপুর ১২টায় পৌর শহরে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে রাতে পৌর শহরের মাদ্রাসা সড়কের কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বরকাতুল ইসলাম অভি গাজীকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রসীদের হাতে নারীসহ আরো তিন জন গুরুতর আহত হয়। তারা হলেন কোয়েল, আমানুল্লাহ ও হোটেল ব্যাবসায়ী পপি বেগম। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতে সংকটাপন্ন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরকাতুল ইসলাম অভি, কোয়েল ও আমানুল্লাহকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবকাতুল ইসলাম অভি গাজীর মৃত্যু হয়। নিহত অভির পিতা উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির গাজী। এই ঘটনায় তিনি কলাপাড়া থানায় গাজী আব্বাস বাচ্চু, সুমন গাজীসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিয়য়ে কলাপাড়া থানর ওসি জি এম শাহনেওয়াজ জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মে, ২০১৭/মাহবুব