বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আঠারবাঁকী নদী দখল করে গড়ে তোলা তিন তলা একটি বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার, মো. আরিফুজ্জামান ও মো: আলীমুজ্জামান মিলন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
পাউবো’র কর্মকর্তারা জানান, উপজেলার গাংনি ইউনিয়নে শুকয়ে যাওয়া আঠারবাঁকি নদীর মাঝ বরাবর ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয় শেখ মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, আঠারবাঁকী নদীর ওই অংশের একপাশে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি ইউনিয়ন ও অন্যপাশে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়ন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অগ্রাধীকার প্রকল্প অনুযায়ী প্রায় শুকিয়ে যাওয়া নদীটির খনন কাজ চলছে।
খননে ১৯৬২ সালে তৈরি করা এস এ ম্যাপ অনুসরণ করা হচ্ছে। কিন্তু খনন করতে গিয়ে দেখা যায় নদীর মাঝ বরাবর ভবনটি পড়েছে। নদী সঠিকভাবে খননের স্বার্থে ভবনটি ভেঙে ফেলতে হয়েছে। এরআগে, ভবনটি নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে একাধিকবার বাড়ির মালিককে নোটিশ দেয়া হয় বলে পাউবো’র কর্মকর্তারা জানান।
ভবন মালিক মেহেদী হাসান বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে জমিটি ওই এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছিলেন তিনি। ২৭ বছরের সঞ্চিত সব দিয়ে বাড়িটি তৈরি করেছেন। বাড়িটি ভেঙে ফেলতে পাউবো থেকে কয়েকবার নোটিশও করা হয়েছে। ওইসব নোটিশ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাপারটি মিমাংসা করে দেবেন বলে জানান। এ কারণে ভবন থেকে কোনো জিনিসপত্র সরানো হয়নি। আজ ভবন ভাঙা হতে পারে এমন কোনো নোটিশ আগে আমাকে করা হয়নি।
অভিযানকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শরিফুল ইসলাম, উপ-বিভাগী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যাণাজীসহ পাউবোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১৬ মে ২০১৭/হিমেল