বৃক্ষ বা শেঁকড় মানব নয়, এবার দিনাজপুরে শরীর জুড়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে শেষ হচ্ছে মাহমুদা খাতুন নামের ৮ বছরের এক কন্যা শিশু।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্ম্মপুর ইউপি’র কামদেবপুর গ্রামের হতদরিদ্র ভটভটি চালক আব্দুর রহিম ও শহিদা বেগম দম্পত্তির ছোট কন্যা মাহমুদা খাতুন।
জন্মের পর থেকেই আস্তে আস্তে শিশুটির হাত,পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রথমে ফোস্কা উঠে এবং পরে ঘা হতে শুরু করে। একপর্যায়ে হাত ও পায়ের আঙ্গুল গুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায় এবং সেই সাথে অঙ্গগুলি ক্ষয় হতে থাকে। ফোস্কার যন্ত্রণায় সার্বক্ষণিক ছট ফট করে শিশুটি। খুবই কষ্ট লাগলেও করার কিছুই করার নেই বলে তার বাবা জানায়।
ওই শিশুটির বাবা আব্দুর রহিম জানান, ২০১৪ সাল থেকে পাবর্তীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু পুরোপুরি ফল পাচ্ছে না। মাঝখানে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এম আব্দুর রহিম (দিনাজপুর) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারকে দেখিয়েছিলাম। সেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন ডাক্তার। কিন্তু অর্থের অভাবে ঢাকার হাসপাতালে নিতে পারিনি। এখনও পাবর্তীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। একমাস পর পর ল্যাস্ব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু সুস্থ আজও হয়নি। বরং যতই দিন যাচ্ছে, ততই পুরো শরীরে ফোস্কা উঠছে। অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা করার সাধ্য আমার নাই। চোখের সামনে অবুঝ শিশুটি ধুঁকে ধুঁকে মরার পথে। এরপরেও বাবা হয়ে কিছুই করতে পারছি না।
শিশুটির মা শহিদা বেগম জানান, ৮ বছর আগে দিনাজপুর সদর হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের সময় শারীরিক গঠন ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয় শিশুটি। এ রোগের চিকিৎসা করতে হলে শিশুটিকে ঢাকায় বা বিদেশে নিয়ে যেতে হবে বলে চিকিৎসক অনেক আগে জানালেও অর্থের অভাবে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
শিশু মাহমুদার পিতা আব্দুর রহিম এবং মা শহিদা বেগম অসুস্থ্য শিশু মাহমুদার চিকিৎসার জন্য দেশের ধনাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ মে, ২০১৭/মাহবুব