দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই দাবি করে খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ''হাওরাঞ্চসহ সারাদেশে ১২ লাখ মেট্রিকটন ধান নষ্টের সুবাদে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াছে। মাত্র ১২ লাখ মেট্রিনটন ধান নষ্ট হওয়ার ফলে দেশে গজব নেমে আসবে এমনটা আমি বিশ্বাস করি না।''
বুধবার দুপুরে দিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজিত অভ্যন্তরীণ খাদ্যশষ্য সংগ্রহ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী কামরুল আরো বলেন, সরকারের খাদ্যভান্ডারে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে । যদি মজুদ নাই থাকতো, তাহলে দুর্যোগ এলাকায় সরকারের মজুদ থেকে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে কীভাবে ? আসলে সরকারের বিরুদ্ধে যারা বড়বড় কথা বলেন তারা তো মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। তিলকে তাল করে অহেতুক প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। এসব করে অহেতুক পরিস্থিতি ঘোলাটে না করার অনুরোধ জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি প্রমুখ।
শেষে নীলফামারী জেলায় এবার ১৫ হাজার ৯১৫ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা জেলার ২৫ জন মিল মালিকের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ