বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গত পাঁচ মাসে অর্ধকোটি টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। এই সময় পুলিশ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
এদের মধ্যে ইয়াবা বড়ি বিক্রেতা হিসেবে পৌর কাউন্সিলর, স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারাও রয়েছেন।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ মাসে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ এসব মাদ্রকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।
উপজেলায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ শিবগঞ্জ উপজেলাকে মাদকমুক্ত করবেন এ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুরু হয় মাদক বিরোধী অভিযান। একের পর এক মাদক আস্তানায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় মাদকদ্রব্য এবং ধরা হয় বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের। শুধু মাদক ব্যবসায়ী নন, মাদক সেবনকারীদের ছাড় দেয়নি পুলিশ। তাদেরও আটক করে আইনের আওতায় এনেছেন।
শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন জানান, গত ৫ মাসে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এক হাজার ২৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১০হাজার ৮০পিস ইয়াবা, ৪৩ কেজি ৩৩০ গ্রাম গাঁজা, ২১০ গ্রাম হিরোইন, ৭ লিটার চোলাই মদ, ২ হাজার পিস এ্যামপল, লুজ ফেন্সিডিল ৩ লিটারসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে ১২টি চোরাই গরু, ৩১ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৯২ জন মাদক ব্যবসায়ী, ২৭ জন মাদক সেবী, ২৭ জন জুয়ারি ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী, একজন জঙ্গি ছাড়াও জিআর ওয়ারেন্টমূলে ৪৭০ জন ও সিআর ওয়ারেন্টমূলে ৪৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে শিবগঞ্জের ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। এ যুব সমাজকেই রক্ষা করতেই মাদ্রকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/১৪ জুলাই ২০১৭/হিমেল