সড়ক পথে দক্ষিনাঞ্চলের প্রবেশদ্বার গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত ১৬২ কিলোমিটার মহাসড়কের বেশীরভাগেরই বেহাল দশা । সমুদ্রবন্দর ভিত্তিক যান চলাচল এই মহাসড়কের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুন। বিভাগের ৬ জেলা ছাড়াও বাগেরহাটসহ আশপাশের জেলাগুলোতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই মহাসড়কটির গত ৬ মাস বেহাল দশায় থাকলেও দেখার কেউ নেই।
মহাসড়কের দুরাবস্থার কারনে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহতও হচ্ছে অনেকে। জনগুরুত্বপূর্ন মহাসড়কের গুরুত্ব না দেয়ায় সড়ক মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও বর্ষার অজুহাতে এসবের দায় এড়ানোর চেস্টা করেছে বরিশাল সড়ক বিভাগ।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনা করেন। এরপর কুয়াকাটাকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃস্টি হয়। বাস্তবায়নাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দর ঘিরে এই অঞ্চলে পন্যবাহী ভারী যান চলাচল অনেক বেড়েছে। বিভাগের ৬ জেলা ছাড়াও বাগেরহাট এবং লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোর লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে। কিন্তু ভাঙ্গাচোরা মহাসড়কে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের শেষ নেই।
দক্ষিনের প্রবেশদ্বার ভূরঘাটা থেকে বরিশালের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার, জিরো পয়েন্ট থেকে পটুয়াখালী মহাসড়কের বরিশাল জেলা সিমান্ত লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত ২৯.৬০ কিলোমিটার। জেলার ৭৭.৬০ কিলোমিটার সড়কের বেশীরভাগ খানাখন্দে ভরা। লেবুখালী ফেরীঘাট থেকে কুয়াকাটা সমূদ্র সৈকত পর্যন্ত ৮০.৪০ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশও বেহাল। এতে জনভোগান্তির শেষ নেই। ঘটছে দুর্ঘটনা-প্রানহানী। বর্ষায় দুরাবস্থা চরমে ওঠে। এগুলো কোনমতে সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছেনা।
এদিকে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহালেও বর্ষার অজুহাতে দায় এড়ানোর চেস্টা সড়ক বিভাগের। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভূরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে ৩ফিট করে ৬ফিট প্রশস্তকরন এবং ওভার লে (পুরনো রাস্তার উপর আস্তর) করার জন্য কয়েক মাস আগে ১০৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার কাজও শুরু করেছে। কিন্তু টানা বর্ষায় সংস্কার কাজ ব্যহত হচ্ছে। বর্ষা কেটে গেলে ঠিকাদারকে যথাসময়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্কার সম্পন্ন হয়ে গেলে মানুষের দুর্ভোগ থাকবেনা বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন / ১২ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর