বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কাঠিরা গ্রামের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী শান্তা হালদার। ঘর না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মাকে নিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় বসবাস করছিলেন তিনি।
বিষয়টি নজরে আসে সামাজিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে শান্তা হালদারের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান তারা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) শান্তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের এক বান্ডিল ঢেউটিন তুলে দেন সংগঠনটির সদস্যরা।
এসময় বসুন্ধরা শুভসংঘ আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখার উপদেষ্টা এসএম ওমর আলী সানি, উপজেলা যুবদল নেতা মো. সাইফুর রহমান টিটু,সহ-সভাপতি আয়কর আইনজীবী সমিরন রায়, ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড বিশ্বাস, অর্থ সম্পাদক আমির হামজা, সদস্য আহাদ তালুকদার, মৃদুল দাস ও মো. রিয়াজুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢেউটিন পেয়ে উচ্ছ্বসিত শান্ত হাওলাদার পরিবার। এক প্রতিক্রিয়ায় শান্তা হালদার জানান, বহুকষ্টে ২০২২ সালে কাঠিরা আদর্শ বিদ্যানিকেতন থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৫ নিয়ে এসএসসি পাস করি। অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি হওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সে সময় বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে সহযোগিতা করে সরকারি আগৈলঝাড়া ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয় এবং বইসহ পড়ালেখার সব খরচ বহন করে। তাদের সহায়তায় আমি এইচএসসি পাস করতে পেরেছি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন প্রায় নিভে যাচ্ছিল—ঠিক তখনই তারা আমাকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে।
শান্তার মা কাজলি হালদার দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। তিনি বলেন, আমার মেয়ের জীবনে আশার আলো দেখিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের জন্য দোয়া করি—তিনি যেন সুস্থ থাকেন এবং গরিব মানুষের পাশে থাকেন। তারা আমাদের কাছে দেবতার মতো।
শান্তা জানান, তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ ও শিশুদের প্রাইভেট পড়িয়ে মায়ের চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালান। মায়ের চিকিৎসার ব্যয় সামলাতে গিয়ে তার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলেও, শুভসংঘ আবারও পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল