শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে স্থানীয় আ.লীগের আধিপত্য বিস্তার করতে হওয়া সংঘর্ষে নিহত যুবলীগের নেতা ইকবাল হোসেনের শরীরে ৬২টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে। গুলিবিদ্ধ ১০ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আজ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত ইকবাল হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় জানাজা শেষে রাজনগর মহিসখোলা গ্রামের এশটি মাদ্রার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন পোদ্দার বলেন, ওই যুবকের শরীরের ৬২টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলিগুলো সর্টগানের ছিল বলে ধারণা করছি। বেশি পরিমাণ বুলেট বিদ্ধ হওয়ায় রক্তক্ষরণ হয়েছে, এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। বুলেটের আলামত পুলিশকে দেয়া হয়েছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, ইকবাল হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জড়িত থাকার সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার