পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভারী বর্ষণের পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা নদ নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বন্যা কবলিত মানুষজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে নদ-নদীর কিনারে অবস্থিত বাড়ি ঘরে এখনো পানি রয়েছে।
এসব এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তারা পর্যাপ্ত খাবারের সংকটে রয়েছেন। গতকাল রাতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে খিঁচুরি দেয়া হলেও তা পর্যাপ্ত ছিলনা বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। শহরের রামের ডাঙ্গা এলাকার বসির মিঞা জানান, খিঁচুরি কেউ পেয়েছে কেউ পায়নি। রান্নাও করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই চিরা মুড়ি খেয়ে আছি।
হঠাৎ এই ভারী বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি ঘর, রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি ভেসে গেছে পাট এবং আমন ক্ষেত। অন্যান্য ফশলেরও ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এদিকে ভারী বর্ষণ থামলেও আকাশে মেঘ এবং টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। গত কয়েকদিন ভারী বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এই জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ আগস্ট ২০১৭/হিমেল