মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সন্তোষপাড়া গ্রামের আলোচিত হামিদা আক্তার হেলেনা হত্যায় অপহরণের মামলায় এক নারীসহ দুইজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ এই রায় প্রদান করেন।
মামলায় আসামি মোজাম্মেলকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং আসামি লিঞ্জু বেগমকে (২৮) ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারা দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
মামলার অপর ৪ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের মার্চ মাসে সিরাজদিখানে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের লোভে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গৃহবধূ হামিদা আক্তার হেলেনাকে অপহরণ করে পাশের গ্রামের মোজাম্মেল। এক পর্যাযে তাকে বাড়ি থেকে বের করে বিয়ের অভিনয় করে ঢাকায় ও চট্রগাম কয়েকদিন পার করে অবশেষে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় টানা ব্রিজের নীচে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। গৃহবধূর ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে সিরাজদিখান থানা পুলিশ মোজাম্মেলকে আটক করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় পৃথক স্থানে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয় এবং অপহরণের দায়ে নিহত হেলেনার ভাই মো. নাজমুল বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে নারী শিশু মামলা ১৬৫/১০ নং মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলায় বিগত ২০১৫ সালের ২৯ অকোটবর আসামি মোজাম্মেলকে যাবৎজীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন ঢাকার দ্রুতবিচার ৩নং আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব