বগুড়ায় মা কাপিয়া আক্তার (৩৩) ও মেয়ে আয়েশা আক্তারকে (৬) হত্যা করেছে দুর্বর্ত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ভান্ডারিপাড়া এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে লাশগুলো বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
পুলিশ ধারনা, সোমবার রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ভান্ডারিপাড়া এলাকা গোলাম মোস্তফার সাথে কয়েক বছর আগে কাপিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। মোস্তফা ঢাকায় নৈশ্য প্রহরীর চাকুরী করে। তার স্ত্রী কাপিয়া একই এলাকার মসজিদপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। মঙ্গলবার এলাকাবাসী দিনভর ওই বাড়ির দরজা বন্ধ থাকতে দেখে। সন্ধ্যায় সন্দেহের ভিত্তিতে এলাকাবাসী দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। নিহত আয়েশা স্থানীয় একটি স্কুলের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, নিহত কাপিয়ার নাকে মুখে রক্ত দেখা গেছে। ঘর বন্ধ থাকলেও জানালার লোহার রড কাটা ছিল, এছাড়া ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তি জানান, সোমবার রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২৯ আগস্ট ২০১৭/হিমেল